বাঙালির দর্শন প্রাচীন ও মধ্যযুগ সাজেশন দর্শন ৩য় বর্ষ

বাঙালির দর্শন প্রাচীন ও মধ্যযুগ সাজেশন
বিষয় কোড : ২৩১৭০৯
ক-বিভাগ: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. বাঙালি দর্শন চর্চার সূচনা করেন কারা?
অথবা, বাঙালি দর্শনের সূচনা করেন কারা?
উত্তর : বাঙালি দর্শন সূচনা করেন শ্রীধর দাশ, জীতেন্দ্রবধি ও গোবর্ধন।
২. বাংলা ভাষার দর্শন চর্চার সূচনা করেন কারা?
উত্তর : বাংলা ভাষার দর্শন চর্চার সূচনা করেন আর্যরা।
৩. বাঙালি দর্শনের সূচনা কোথা থেকে হয়?
উত্তর : প্রাক বৈদিক চিন্তাধারা থেকে বাঙালি দর্শনের সূচনা হয়।
৪. বৈদিক দর্শনের উৎস কী?
উত্তর : বৈদিক দর্শনের উৎস হলো বেদ ও উপনিষদ।
৫. বাঙালি দর্শনের দুটি অবৈদিক উপাদান লেখ।
উত্তর : বাঙালি দর্শনের দুটি অবৈদিক উপাদান হলো- ১. শৈব মতবাদ ও ২. শাক্ত মতবাদ।
৬. শান্তরক্ষিত কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : শান্তরক্ষিত আনুমানিক ৭০৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা জেলার জাহারো বা সাহোরে জন্মগ্রহণ করেন।
৭. বোধিচিত্ত কী?
উত্তর : সব জগতের, সব প্রাণীর, সব দুঃখ দূর করার জন্য বুদ্ধ হব এরূপ যে সংকল্প এবং সংকল্প বাস্তবায়নে যে প্রাণপণ প্ৰয়াস চালায় তাই বোধিচিত্ত।
৮. “সকলই দুঃখময়।”— কে বলেছেন?
উত্তর : “সকলই দুঃখময়।”― বলেছেন গৌতমবুদ্ধ।
৯. শীলভদ্র কে ছিলেন?
অথবা, শীলভদ্র কে?
উত্তর : শীলভদ্র প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ দার্শনিক ছিলেন। তিনি তৎকালীন ভারতে শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত বলে খ্যাত।
১০. শীলভদ্র কোন মহাবিহারের আচার্য ছিলেন?
উত্তর : শীলভদ্র মহাবিহারের আচার্য ছিলেন।
১১. বৌদ্ধধর্ম গ্রন্থের নাম লেখ।
উত্তর : বৌদ্ধধর্ম গ্রন্থের নাম ত্রিপিটক এবং ত্রিপিটক তিন প্রকার । যথা : ১. বিনয় পিটক, ২. সূত্র পিটক ও ৩. অভিধম্ম পিটক।
১২. মহাযান কারা?
উত্তর : যারা নিজের মুক্তি কামনা না করে সর্বজীবের মুক্তি কামনা করে তারাই মহাযান।
১৩. ‘সকলই’ দুঃখময়, – কে বলেছেন?
উত্তর : ‘সকলই’ দুঃখময়,’ বলেছেন গৌতম বুদ্ধ।
১৪. অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর : অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগনার অন্তর্গত বজ্রযোগিনী গ্রামে।
১৫. অতীশ দীপঙ্করের প্রচারিত মতবাদের নাম কী?
উত্তর : অতীশ দীপঙ্করের প্রচারিত মতবাদের নাম শূন্যবাদ।
১৬. চর্যাপদ কী?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের যে আদি নিদর্শনে ভাষা ও সংস্কৃতি পরিচয় প্রাচীনকালের বাঙালির জীবন ও সমাজ সমীক্ষা, তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শ্রেণিসংগ্রাম এবং ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণিত হয়েছে তাই চর্যাপদ।
১৭. চর্যাপদ কোথা থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
অথবা, চর্যাপদ কোথায় পাওয়া গিয়েছিল?
উত্তর : চর্যাপদ নেপাল রাজদরবারের পুথিশালা থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল।
১৮. চর্যার মোট পদসংখ্যা কয়টি?
অথবা, চর্যাপদে মোট কতটি পদের সন্ধান পাওয়া যায়?
উত্তর : চর্যার মোট পদসংখ্যা হলো সাড়ে ছেচল্লিশটি।
১৯. চর্যাপদের রচয়িতাদের কী বলা হয়?
উত্তর : চর্যাপদের রচয়িতাদের সিদ্ধাচার্য বলা হয়।
২০. চর্যাপদের ভাষা কী?
উত্তর : চর্যাপদের ভাষা হলো প্রাচীন বাংলা।
২১. জয়দেব কোন ভাষার কবি ছিলেন?
উত্তর : জয়দেব মূলত সংস্কৃতি ভাষার কবি ছিলেন।
২২. জয়দেব বাংলার কোন শাসকের রাজসভাকে অলংকৃত করেছিলেন?
উত্তর : জয়দেব বাংলার লক্ষ্মণসেনের রাজসভাকে অলংকৃত করেছিলেন।
২৩. ‘গীতগোবিন্দ’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘গীতগোবিন্দ’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন জয়দেব।
২৪. বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসকে কী বলা হয়?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাপতি সুখের কবি এবং চণ্ডীদাসকে দুঃখের কবি বলা হয়।
২৫. বিদ্যাপতি কোথাকার কবি ছিলেন?
উত্তর : বিদ্যাপতি মিথিলার কবি ছিলেন।
২৬. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রচয়িতা কে?
অথবা, ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কে রচনা করেন?
উত্তর : ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রচয়িতা চণ্ডীদাস।
২৭. চণ্ডীদাস কে ছিলেন?
উত্তর : চণ্ডীদাস একজন বৈষ্ণব কবি ছিলেন।
২৮. গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক কে?
উত্তর : গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্য দেব।
২৯. অচিন্ত্যভেদাভেদ তত্ত্ব কী?
উত্তর : সৃষ্টি ও স্রষ্টার যে সম্বন্ধ তা কি ভেদ-বিভেদের সম্বন্ধ, না অভেদ অভিন্নতার সম্বন্ধ এ সম্পর্কে বৈষ্ণব দর্শনে যে ব্যাখ্যা পাওয়া যায় তাই অচিন্ত্যভেদাভেদ তত্ত্ব নামে পরিচিত।
৩০. সুফিবাদ ও মরমিবাদের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : সুফিবাদ ও মরমিবাদের মধ্যে পার্থক্য হলো সুফিবাদের মূল বিষয় হলো দৈহিক পবিত্রতা কিন্তু মরমিবাদ দৈহিক পবিত্রতাকে অস্বীকার করে।
খ-বিভাগ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. বাঙালির দর্শন কি প্রকৃত দর্শন? ব্যাখ্যা কর।
২. নির্বাণ বলতে বুদ্ধ কী বুঝিয়েছেন?
৩. বাঙালির দর্শনে লোকায়ত বা চার্বাক দর্শনের গুরুত্ব লেখ।
৪. প্রজ্ঞা পারমিতা ব্যাখ্যা কর।
৫. শীলভদ্রের দার্শনিক চিন্তাভাবনা আলোচনা কর।
৬. অতীশ দীপঙ্করের নীতিদর্শন ব্যাখ্যা কর।
৭. চর্যাপদের সহজিয়া দৰ্শন কী?
৮. বাঙালি দর্শনে চর্যাপদ এর গুরুত্বপূর্ণ কেন?
অথবা, বাঙালি দর্শনে চর্যাপদের গুরুত্ব লেখ।
৯. জয়দেবের সমাজদর্শন সংক্ষেপে আলোচনা কর।
১০. বিদ্যাপতির দর্শনচিন্তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
১১. চণ্ডীদাসের সমাজদর্শন সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
১২. বৈষ্ণববাদ বলতে কী বুঝ?
১৩. বৈষ্ণবীয় প্রেমতত্ত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর।
১৪. মরমিবাদের বৈশিষ্ট্য কী কী?
১৫. লালন শাহের দর্শনকে মরমি দর্শন বলা হয় কেন?
১৬. সুফিবাদ বলতে কী বুঝ?
১৭. নব্য সুফিবাদ বলতে কী বুঝ?
১৮. “এই মানুষে সেই মানুষ আছে।”— কে বলেছেন? সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
১৯. সুফি দর্শনের ‘আত্মাতত্ত্ব’ কী?
অথবা, সুফি দর্শনে আত্মাতত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা কর।
২০. বাউল দর্শনের প্রেমতত্ত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর।
গ-বিভাগ: রচনামূলক প্রশ্ন
১. বাঙালি দর্শনের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা কর।
অথবা, বাঙালি দর্শনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।
২. বাঙলায় দার্শনিক বিকাশের পটভূমি ব্যাখ্যা কর।
৩. বাঙালির দর্শন কাকে বলে? এ দর্শনকে সমন্বয়বাদী বলা যায় কি না?
অথবা, বাঙালির দর্শন বলতে কী বুঝ? এ দর্শন কীভাবে সমন্বয়বাদী?
৪. শান্তরক্ষিত কে ছিলেন? তার দর্শনতত্ত্ব আলোচনা কর।
৫. বাঙালির দর্শনে শান্তরক্ষিতের অবদান আলোচনা কর।
৬. শান্তিদেবের দর্শন আলোচনা কর।
৭. শান্তিদেবের ষট পারমিতা আলোচনা কর।
৮. বৌদ্ধধর্মের নবজাগরণে অতীশ দীপঙ্করের অবদান মূল্যায়ন কর।
৯. চর্যাপদকে ‘বৌদ্ধগান’ বলার কী সার্থকতা? ব্যাখ্যা কর।
১০. চর্যায় ধর্মদর্শন অথবা অধ্যাত্মতত্ত্ব বিশ্লেষণ কর।
১১. জয়দেব কে ছিলেন? তার ‘গীতগোবিন্দ’ কাব্যের বিষয়বস্তু আলোচনা কর।
১২. বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাসের কবি প্রতিভার তুলনামূলক আলোচনা কর।
১৩. বিদ্যাপতির সমাজ চেতনা সম্পর্কে আলোচনা কর।
১৪. বিদ্যাপতি অনুসরণে শ্রীরাধার ক্রমবিকাশ তত্ত্ব আলোচনা কর।
১৫. বৈষ্ণব দর্শনের উৎস কী? এ প্রসঙ্গে বৈষ্ণব ‘প্রেমতত্ত্ব’ আলোচনা কর।
১৬. মরমি দর্শন কী? লালন শাহের মরমি দর্শন ব্যাখ্যা কর।
অথবা, লালন শাহের মরমি দর্শন ব্যাখ্যা কর।
অথবা, মরমি দর্শন বলতে কী বুঝায়? লালন শাহের মরমি দর্শনের বিস্তারিত বর্ণনা কর।
১৭. সুফিবাদের উৎপত্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন মতবাদ পর্যালোচনা কর।
অথবা, সুফিবাদের উৎসগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
১৮. সুফিবাদ কী? সুফিবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।
১৯. নব্য সুফিবাদ কী? নব্য সুফিবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।
২০. বাউল কারা? বাউল দর্শনের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।