অনার্স ৩য় বর্ষ দর্শন বিভাগ মুসলিম দার্শনিকবৃন্দ সাজেশন

মুসলিম দার্শনিকবৃন্দ সাজেশন
বিষয় কোড : ২৩১৭১১
ক-বিভাগ: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. মুসলিম দর্শনের জনক কে?
উত্তর : মুসলিম দর্শনের জনক আল কিন্দি।
২. আল কিন্দির দুইটি বইয়ের নাম লেখ।
উত্তর : আল কিন্দির দুইটি বইয়ের নাম হলো- On the Five Essence ও On the Intellect.
৩. ফালাসিফা সম্প্রদায়ভুক্ত তিনজন দার্শনিকের নাম লেখ।
উত্তর : ফালাসিফা সম্প্রদায়ভুক্ত তিনজন দার্শনিকের নাম হলো- ১. আল কিন্দি, ২. আল ফারাবি ও ৩. আল গাজালি।
৪. ফালাসিফা সম্প্রদায়ভুক্ত দুইজন দার্শনিকের নাম লেখ।
উত্তর : ফালাসিফা সম্প্রদায়ভুক্ত দুইজন দার্শনিক হলেন— ১. আল কিন্দি ও ২. আল ফারাবি।
৫. আল কিন্দির মতে জ্ঞানের উৎস কী?
উত্তর : আল কিন্দির মতে জ্ঞানের উৎস হলো বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা।
৬. আল কিন্দির মতে জগতের মৌলিক উপাদানগুলো কী?
উত্তর : আল কিন্দির মতে জগতের মৌলিক উপাদানগুলো হলো জড়, আকার, গতি, দেশ ও কাল।
৭. আল ফারাবিকে কী উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
অথবা, আল ফারাবি কী উপাধিতে ভূষিত হন?
উত্তর : আল ফারাবিকে শিক্ষক উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
৮. মুসলিম দর্শনে ‘দ্বিতীয় শিক্ষক’ বলা হয় কাকে?
উত্তর : মুসলিম দর্শনে ‘দ্বিতীয় শিক্ষক’ বলা হয় আল ফারাবিকে।
৯. আল ফারাবির মতে রাষ্ট্র কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : আল ফারাবির মতে চার প্রকার। যথা : ১. কল্যাণ রাষ্ট্র, ২. অকল্যাণ রাষ্ট্র, ৩. অনৈতিক রাষ্ট্র ও ৪. ভ্রান্ত রাষ্ট্র।
১০. ইবনে মিশকাওয়াহর মতে আত্মা কয়টি অংশ?
উত্তর : ইবনে মিশকাওয়াহর মতে আত্মার তিনটি অংশ।
১১. ইবনে সিনার মতে আত্মা কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : ইবনে সিনার মতে আত্মা তিন প্রকার। যথা : ১. উদ্ভিদ আত্মা, ২. জীবাত্মা ও ৩. মানব আত্মা।
১২. ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ কাকে বলা হয়?
উত্তর : আল গাজালিকে ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ বলা হয়।
১৩. আল গাজালির দার্শনিক পদ্ধতির নাম কী?
উত্তর : আল গাজালির দার্শনিক পদ্ধতির নাম হলো সংশয়বাদ।
১৪. আল গাজালির মতে জ্ঞানের উৎস কী?
উত্তর : আল গাজালির মতে জ্ঞানের উৎস ওহি বা প্রত্যাদেশ।
১৫. আল গাজালির মতে জ্ঞানের প্রকৃত উৎস কী?
উত্তর : আল গাজালির মতে জ্ঞানের প্রকৃত উৎস হলো স্বজ্ঞা।
১৬. ইবনে তোফায়েল কোন ধরনের দার্শনিক ছিলেন?
উত্তর : ইবনে তোফায়েল বুদ্ধিবাদী ও মরমীবাদী দার্শনিক ছিলেন।
১৭. ‘হাই ইবনে ইয়াকযান’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘হাই ইবনে ইয়াকযান’ গ্রন্থের রচয়িতা ইবনে তোফায়েল।
১৮. ইবনে রুশদের মতে জ্ঞান কয় প্রকার?
উত্তর : ইবনে রুশদের মতে জ্ঞান তিন প্রকার। যথা : ১. আলংকারিক, ২, যুক্তিসিদ্ধ এবং ৩. প্রতিপাদক।
১৯. ‘Tahafut Al Tahafut’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
অথবা, “তাহফাতুল তাহফাত’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘Tahafut Al Tahafut’ বা ‘তাহাফাতুল তাহফাত’ গ্রন্থের রচয়িতা ইবনে রুশদ।
২০. ইবনে খালদুন কে ছিলেন?
উত্তর : ইবনে খালদুন ছিলেন একজন বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক, সমাজচিন্তাবিদ ও ইতিহাসবেত্তা।
২১. ইবনে খালদুন কোন দেশের দার্শনিক ছিলেন?
উত্তর : ইবনে খালদুন তিউনিসিয়ার দার্শনিক ছিলেন।
২২. রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও বিকাশ সংক্রান্ত ইবনে খালদুনের মতবাদটির নাম কী?
উত্তর : রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও বিকাশ সংক্রান্ত ইবনে খালদুনের মতবাদটির নাম হলো ‘আসাবিয়া’।
২৩. মোল্লা সদরার পূর্ণনাম কী?
উত্তর : মোল্লা সদরার পূর্ণনাম সদরউদ্দিন আল সিরাজি।
২৪. মোল্লা সাদরার মতে দর্শনের বিভাগ কয়টি ও কী কী?
উত্তর : মোল্লা সাদরার মতে দর্শনের বিভাগ দুটি। যথা : ১. তাত্ত্বিক ও ২. ব্যবহারিক।
২৫. কুরআনের প্রথম ফারসি অনুবাদ করেন কে?
উত্তর : কুরআনের প্রথম ফারসি অনুবাদ করেন শাহ ওয়ালিউল্লাহ।
২৬. ওয়ালিউল্লাহর মতে দর্শনের ভিত্তি কী?
উত্তর : ওয়ালিউল্লাহর মতে দর্শনের ভিত্তি ধর্ম।
২৭. ‘খুদী’ অর্থ কী?
উত্তর : খুদী অর্থ আত্ম বা আত্মসত্তা।
২৮. ইকবালের মতে আত্মা বা খুদির স্বরূপ কীভাবে জানা যায়?
উত্তর : ইকবালের মতে স্বজ্ঞা বা অতীন্দ্রিয় অনুভূতির মাধ্যমে আত্মা বা খুদির স্বরূপ জানা যায়।
২৯. ইকবালের দর্শনের মৌল ধারণা কয়টি ও কী কী?
উত্তর : ইকবালের দর্শনের মৌল ধারণা চারটি। যথা : ১. স্বজ্ঞা, ২. খুদি, ৩. জগৎ এবং ৪. আল্লাহ।
৩০. ইকবালের মতে জ্ঞানের অনিবার্য উৎস কী?
উত্তর : ইকবালের মতে স্বজ্ঞা জ্ঞানের অনিবার্য উৎস হলো অভিজ্ঞতা।
খ-বিভাগ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. আল কিন্দিকে প্রথম আরবীয় দার্শনিক বলা হয় কেন?
২. আল কিন্দির জ্ঞানতত্ত্ব আলোচনা কর।
৩. আল কিন্দিকে মুসলিম দর্শনের জনক বলা হয় কেন?
৪. আল ফারাবির যুক্তিবিদ্যার ঐতিহ্য লেখ।
অথবা, আল ফারাবির যুক্তিবিদ্যার বিষয়বস্তু সম্বন্ধে লেখ।
৫. বুদ্ধিবৃত্তির শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে আল ফারাবির মত আলোচনা কর।
৬. ইবনে মিসকাওয়াহ এর মতানুসারে নৈতিকতার সাথে সমাজের সম্পর্ক আলোচনা কর।
৭. যুক্তিবিদ্যায় ইবনে সিনার অবদান আলোচনা কর।
৮. ইবনে সিনা অনুসরণে আত্মার স্তরসমূহ ব্যাখ্যা কর।
৯. ইবনে সিনাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন?
১০. আল গাজালিকে ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ বলা হয় কেন?
১১. আল গাজালির কার্যকারণতত্ত্ব আলোচনা কর।
১২. আল গাজালি কেন স্বজ্ঞাকে জ্ঞানের প্রকৃত উৎস হিসেবে গ্রহণ করেন?
১৩. আত্মা সম্পর্কে আল গাজালির মতবাদ ব্যাখ্যা কর।
১৪. মুসলিম দর্শনে ইবনে তোফায়েলের অবদান কী?
১৫. ইবনে রুশদ কীভাবে ধর্মের সাথে দর্শনের সমন্বয় সাধন করেন? আলোচনা কর।
১৬. সংক্ষেপে ইবনে রুশদের অধিবিদ্যা আলোচনা কর।
১৭. সংক্ষেপে ইবনে রুশদ এর জ্ঞানতত্ত্ব আলোচনা কর।
অথবা, ইবনে রুশদের জ্ঞানতত্ত্ব ব্যাখ্যা কর।
১৮. ইবনে খালদুনের আসাবিয়া তত্ত্ব ব্যাখ্যা কর।
১৯. সমাজ বিবর্তনে ইবনে খালদুনের বক্তব্য কী?
২০. শাহ ওয়ালিউল্লাহর দর্শন আলোচনা কর।
গ-বিভাগ: রচনামূলক প্রশ্ন
১. আল কিন্দির অধিবিদ্যার একটি বিবরণ দাও। তাঁকে কেন প্রথম মুসলিম দার্শনিক বলা হয়?
অথবা, আল কিন্দির অধিবিদ্যা আলোচনা কর।
২. আল কিন্দির জ্ঞানতত্ত্ব আলোচনা কর।
৩. আল ফারাবির অধিবিদ্যা অথবা নীতিবিদ্যা ব্যাখ্যা ও মূল্যায়ন কর।
৪. আল ফারাবির অধিবিদ্যা আলোচনা কর।
৫. আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে ইবনে মিসকাওয়াহ এর মতামত আলোচনা কর।
৬. ইবনে সিনার দর্শন আলোচনা কর। মুসলিম দর্শনে তার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
৭. ইবনে সিনার আত্মাতত্ত্ব ব্যাখ্যা ও মূল্যায়ন কর।
অথবা, ইবনে সিনার আত্মাতত্ত্বের বর্ণনা দাও।
৮. দার্শনিকদের বিরুদ্ধে আল গাজালির অভিযোগসমূহ আলোচনা কর। গাজালি কেন দার্শনিকদের কাফের বলেছেন?
৯. মুসলিম দর্শনে আল গাজালির অবদান আলোচনা কর। তাকে হুজ্জাতুল ইসলাম বলা হয় কেন?
অথবা, মুসলিম দর্শনে ইমাম আল গাজালির অবদান আলোচনা কর।
১০. কার্যকারণ সম্পর্কে আল গাজালির মত ব্যাখ্যা ও মূল্যায়ন কর।
অথবা, আল গাজালির কার্যকারণ তত্ত্ব আলোচনা কর।
১১. সুফিদর্শনে আল গাজালির অবদান আলোচনা কর।
১২. ইবনে তোফায়েলের দর্শন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর।
অথবা, মুসলিম দর্শনে ইবনে তোফায়েলের অবদান আলোচনা কর।
১৩. ইবনে রুশদ কীভাবে ধর্মের সাথে দর্শনের সমন্বয় করেন? আলোচনা কর।
১৪. ইবনে খালদুন কে ছিলেন? তার দর্শন আলোচনা কর।
অথবা, ইবনে খালদুনের দর্শন আলোচনা কর।
১৫. ইবনে খালদুনের আসাবিয়া তত্ত্ব ব্যাখ্যা ও মূল্যায়ন কর।
১৬. আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে মোল্লা সাদরার মতামত আলোচনা কর।
১৭. মুসলিম দর্শনে মোল্লা সাদরার ভূমিকা আলোচনা কর।
১৮. শাহ ওয়ালীউল্লাহর দর্শন আলোচনা কর।
১৯. ইচ্ছার স্বাধীনতা সম্পর্কে শাহ ওয়ালিউল্লাহর ধারণা উল্লেখ কর।
২০. ইকবালের খুদিতত্ত্ব ব্যাখ্যা কর।
অথবা, ইকবালের খুদীদর্শন ব্যাখ্যা ও মূল্যায়ন কর।
অথবা, ইকবালের থুদিতত্ত্ব ব্যাখ্যা কর এবং দর্শনে এর তাৎপর্য নিরূপণ কর।